পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
কোরআনে মধুর কথা
আরবি
পরিভাষায় মধুপোকা বা মৌমাছিকে ‘নাহল’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এই নামে একটি
স্বতন্ত্র সূরা বিদ্যমান আছে। সূরা নাহল এর আয়াত ৬৯-এ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ
করেন- “ইয়াখরুজু মিমবুতুনিহা শারাবুম মুখতা লিফুন আল্ওয়া নহু ফীহি শিফাউল
লিন্নাসি।”
অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়।
তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। মধু হচ্ছে ওষুধ এবং খাদ্য উভয়ই।
মধুকে বলা হয়- বিররে এলাহি ও তিব্বে নব্বী। অর্থাৎ খোদায়ী চিকিৎসা ও নবী
করীম (সা.)- এর বিধানের অন্তর্ভুক্ত। সূরা মুহাম্মদ- এর ১৫ আয়াতে আল্লাহ
তায়ালার এরশাদ হচ্ছে- “জান্নাতে স্বচ্ছ মধুর নহর প্রবাহিত হবে।”
খাদ্য
ও ঋতুর বিভিন্নতার কারণে মধুর রঙ বিভিন্ন হয়ে থাকে। এ কারণেই কোন বিশেষ
অঞ্চলে কোন বিশেষ ফল-ফুলের প্রাচুর্য থাকলে সেই এলাকার মধুতে তার প্রভাব ও
স্বাদ অবশ্যই পরিলক্ষিত হয়। মধু সাধারণত তরল আকারে থাকে তাই একে পানীয় বলা
হয়। মধু যেমন বলকারক খাদ্য এবং রসনার জন্য আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক, তেমনি রোগ
ব্যাধির জন্যও ফলদায়ক ব্যবস্থাপত্র। কেন হবে না, স্রষ্টার ভ্রাম্যমাণ মেশিন
সর্বপ্রকার ফল-ফুল থেকে বলকারক রস ও পবিত্র নির্যাস বের করে সুরক্ষিত গৃহে
সঞ্চিত রাখে। মধুর আরো একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য এই যে, নিজেও নষ্ট হয় না এবং
অন্যান্য বস্তুকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত নষ্ট হতে দেয় না। এ কারণেই হাজারো বছর
ধরে চিকিৎসকরা একে অ্যালকোহল (Alcohol)- এর স্থলে ব্যবহার করে আসছেন। মধু
বিরেচক এবং পেট থেকে দূষিত পদার্থ অপসারক।
রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর
কাছে কোন এক সাহাবি তার ভাইয়ের অসুখের বিবরণ দিলে তিনি তাকে মধু পান করানোর
পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় দিনও এসে আবার সাহাবি বললেন- অসুখ পূর্ববৎ বহাল
রয়েছে। তিনি আবারো একই পরামর্শ দিলেন। তৃতীয় দিনও যখন সংবাদ এল যে, অসুখের
কোন পার্থক্য হয়নি, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন- আল্লাহর উক্তি নিঃসন্দেহে
সত্য, তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। উদ্দেশ্য এই যে, ওষুধের কোনো দোষ নেই।
রোগীর বিশেষ মেজাজের কারণে ওষুধ দ্রুত কাজ করেনি। এর পর রোগীকে আবার মধু
পান করানো হয় এবং সে সুস্থ হয়ে উঠে।
মধুর নিরাময় শক্তি বিরাট ও
সতন্ত্র ধরনের। কিছু সংখ্যক আল্লাহওয়ালা বুজর্গ ব্যক্তি এমনও রয়েছেন, যারা
মধু সর্বরোগের প্রতিষেধক হওয়ার ব্যাপারে নিঃসন্দেহ। তারা ফোড়া ও চোখের
চিকিৎসাও মধুর মাধ্যমে করেন। দেহের অন্যান্য রোগেরও চিকিৎসা মধুর দ্বারা
করেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তার শরীরে ফোঁড়া বের
হলেও তিনি তাতে মধুর প্রলেপ দিয়ে চিকিৎসা করতেন। এর কারণ জিজ্ঞাসিত হলে
তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কি বলেননি যে, তাতে মানুষের জন্য রয়েছে
রোগের প্রতিকার। -(কুরতুবী)
হাদিস শরিফে মধুর গুণাগুণ
পবিত্র
হাদিস শরিফে মধু সম্পর্কে প্রচুর রেওয়ায়েত আছে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ
(সা.)- এর মতে সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ। তিনি বলেন- মধু
এবং কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের চিকিৎসা নেয়া উচিত। -(সুনানে ইবনে মাজাহ,
হাকেম)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন যে, “রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেন- যে ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে তিন দিন ভোরে মধু চেটে খায় তার কোন বড়
বিপদ হতে পারে না।” -(ইবনে মাজাহ, বয়হাকী)
রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং
সকাল বেলা খালি পেটে মধুর শরবত পান করতেন। যারা নিয়মিতভাবে মধুর শরবত পান
করতে না পারবে তাদের জন্য তিনি বলেন- যে ব্যক্তি মাসে তিন দিন সকাল বেলা
মধু চেটে সেবন করবে, ওই মাসে তার কোন কঠিন রোগব্যাধি হবে না। রাসূলুল্লাহ
(সা.) বলেছেন- যে কেহ আরোগ্য কামনা করে, তার ভোরের নাশতা হিসাবে পানি
মিশ্রিত মধু পান করা উচিত।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন- আল্লাহর
শপথ যে ঘরে মধু আছে অবশ্যই ফেরেস্তারা সে ঘরের অধিবাসীদের মাগফেরাত কামনা
করেন। কোন ব্যক্তি যদি মধুপান করে তবে যেন তার পেটে লক্ষ ওষুধ স্থির হলো
এবং পেট হতে লাখ রোগ বের হয়ে গেল। আর যদি সে পেটে মধু ধারণ অবস্থায় মারা
যায় তবে তাকে দোজখের আগুন স্পর্শ করে না। -(নেয়ামুল কোরআন)
হাদিস
শরিফে বর্ণিত আছে হুজুর পাক (সা.) বলেছেন, তোমরা দুটি সেফা দানকারী বস্তুকে
নিজেদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে নাও। একটি মধু অপরটি কুরআন। -(মিশকাত)
মধু
৯৯ প্রকার রোগের প্রতিষেধক। কারণ, মধু রোগব্যাধি শেফা দানে এক অব্যর্থ
মহৌষধ। আর কোরআন দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার গ্যারান্টি। এ দুটির দ্বারা বহু
শতাব্দী ধরে মানুষ অশেষ উপকৃত হয়ে আসছে। আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক (সা.)
মধু খেতে বড়ই ভালো বাসতেন।
রোগ নিরাময়ে মধুর গুণাগুণ
রোগ
নিরাময়ের জন্য মধু কখনো এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রিত
করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সফলতার সঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম্নে কয়েকটি
রোগের চিকিৎসায় মধুর ব্যবহার উল্লেখ করা হলো-
সর্দি, কাশি ও
স্বরভঙ্গে চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেষ্মা রেগের
উপশম হয় (১ চামচ মধু + ১ চামচ আদার রস)। দুই চা চামচের সমপরিমাণ মধু ও
বাসকপাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশি সেরে যায়।
তুলসী পাতার এক চা চামচ রস ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই কাশি দূর হয়।
সৈন্ধব
লবণ, আমলকী, পিপুল, মরিচ ইত্যাদির সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে এক চা চামচ
করে খেলে কফ ও স্বরভাঙ্গা ভালো হয়। খাঁটি মধুর সঙ্গে হরীতকী ও বচচূর্ণ
মিশিয়ে লেহন করলে (চেটে খেলে) শ্বাসকষ্টের আশু উপকার পাওয়া যায়।
২
চা চামচ মধু ১ গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে সকালে ও সন্ধ্যায় খেলে সর্দিকাশি দূর
হয়। হালকা গরম জলসহ মধু মিশিয়ে গড়গড়া করলে গায়কদের গলার স্বর বৃদ্ধি পায়।
অনেকের মতে, এটা টনিকের মতো কাজ করে।
এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধেবেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে বৃদ্ধিপায়।
আমাশয়ে মধু
রক্ত
মিশ্রিত পায়খানা, তৈলাক্ত পায়খানা এবং সঙ্গে পেট কামড়ানি থাকলে তাকে আমাশয়
বলে। মধু দিয়ে কিভাবে আমাশয় রোগ নিরাময় করা যায় তা তুলে ধরছি-
কচি বেল ও আমগাছের কচি চামড়া (বাকল) বাটার সঙ্গে গুড় ও মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
কুল বা বড়ই গাছের ছাল চূর্ণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়।
৫০০
গ্রাম আতপ চাল ভেজে গুঁড়া করে এর সঙ্গে ১২৫ গ্রাম ঘি, ২৫০ গ্রাম খাটি মধু,
১২৫ গ্রাম চিনি এবং ২০টি সবরি কলা ভালোভাবে মিশিয়ে (চটকে) জ্বালাল দিয়ে
খাবার উপযোগী করে ৩/৪ দিন নিয়মিত খেলে সব ধরনের আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
অন্যান্য রোগে মধু
শরীরের
বাইরের কোন অংশের ক্ষততে মধুর প্রলেপ লাগালে অনেক সময় মলমের চেয়ে বেশি
উপকার পাওয়া যায়। পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর ক্ষত সারে। মৌরির
পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে দূষিত বায়ু পেট থেকে বেরিয়ে যায়। যারা খুব মোটা
হচ্ছেন তাদের মেদ কমানোর জন্য মধুর সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে খেলে সুফল
পাওয়া যায়। দুর্বল শিশুকে এক ফোঁটা মধু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার
খাওয়ালে তার স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি লাভ করে।
এক কাপ দুধে এক চা চামচ
মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। মধুর সঙ্গে গুড়ের রস মিশিয়ে
খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়। চক্ষু রোগে এক ফোঁটা করে মধু দিনে ৩ বার চোখে
লাগাতে হবে।
শিশুদের দৈহিক গড়ন, রুচি বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ও পেট
ভালো রাখার জন্য প্রত্যহ এক চা চামচ মধু গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে নাশতা ও
রাতের খাবারের সঙ্গে দিতে হবে। আমাশয় ও পাতলা পায়খানা থাকলে গরম পানিতে
আড়াই চা-চামচ মধু মিলিয়ে শরবত বানিয়ে বারবার ‘সেবন করতে হবে’।
যক্ষ্মা
রোগে বাসক পাতার রস এক চা-চামচ পরিমাণ এক চা-চামচ মধু এবং এক চা-চামচ আদার
রস মিশিয়ে কিছু দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে। যক্ষ্মা রোগ ভালো হওয়ার জন্য-
আধাতোলা পেঁয়াজের রস, ২৫০ গ্রাম ঘি এবং ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে একটা পাত্রে
রেখে দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল খেলে এবং প্রতি রাতে শোয়ার সময় চিনি দিয়ে
অল্প পরিমাণ গরম দুধ খেলে ৪/৫ দিনের মধ্যে যক্ষ্মা ভালো হওয়ার সম্ভাবনাই
বেশি । রাসূল (সা.) বলেছেন, মধু হৃদপি-কে সতেজ করে। প্রতিদিন হাতের তালুতে
অল্প পরিমাণ মধু নিয়ে চেটে খেলে হৃদরোগ থাকে না।
জার্মান হৃদরোগ
বিশেষজ্ঞ ড. ই কচ বলেছেন, ‘উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি
নিয়মিত সকালে এক চা-চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃদপি- শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া
মধু আয়ুও বৃদ্ধি করে।’
ডায়রিয়াতে রাসূল (সা.) মধু খাওয়ানোর কথা
বলছেন। ডায়রিয়া হলে খয়ের ও দারুচিনির গুঁড়া সমপরিমাণ সামান্য মধুর সঙ্গে
মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। পিপুল ও গোল মরিচের শুকনো
গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে কিছু দিন নিয়মিত খেলে পুরাতন উদরাময় ভালো হয়ে
যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এক গ্লাস গরম দুধ বা গরম পানিতে ২চা-চামচ মধু
মিশিয়ে কয়েকবার খেতে হবে।
মধু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা
মধুতে
গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামক দুই ধরনের সুগার থাকে। অবশ্য সুক্রোজ ও মালটোজও
খুব অল্প পরিমাণে আছে। মধু নির্ভেজাল খাদ্য। এর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে,
এর মধ্যে কোনো জীবাণু ১ ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচতে পারে না। এতে ভিটামিন এ,
বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান। অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন-
এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস,
ম্যাঙ্গানিজ), এছাড়াও প্রোটিন আছে।
মধুতে কোনো কোলস্টেরল নেই। সুস্থ
অসুস্থ যে কেউ মধু খেতে পারেন। সুস্থ মানুষ দিনে দু’চা-চামচ মধু অনায়াসে
খেতে পারেন। বেশি খেতে চাইলে শর্করা জাতীয় খাদ্য ভাত, রুটি, আলু কমিয়ে খেতে
হবে। অন্যথা মোটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণ খেলে মোটা
হওয়ার ভয় নেই। হজমের গোলমাল, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিরোগে আধা
চা-চামচ এর বেশি মধু না খাওয়াই ভালো। পোড়া, ক্ষত ও সংক্রমণের জায়গায় মধু
লাগালে দ্রুত সেরে যায়।
মধুতে রয়েছে অসংখ্য থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য। মধু
সর্দি কাটানোর জন্য কাজ করে। মধুতে ৪৫ টিরও বেশি পরিপূরক রয়েছে। মধুতে
সাধারণভাবে কোনও ফ্যাট বা প্রোটিন থাকে না। প্রতি ১০০ গ্রাম মধু থেকে ৩০৪
ক্যালোরি পাই।
মধু ত্বকের স্বাস্থ্য পরিচালনা এবং ঠান্ডাজনিত
অসুস্থতায় ব্যতিক্রমীভাবে সফল। আপনি যে খাঁটি মধু ও ভেজাল মধু চেনার
পরিস্থিতিতে, উষ্ণ জলে মধু মিশ্রণ করে কিছুটা সম্প্রীতি পেতে পারেন। মধুতে
কোনও চর্বি বা প্রোটিন থাকে না। আমরা বাজারে যে মধু কিনেছি তা ভেজাল মধু
খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আপনি যদি মধু ভেজাল না খাঁটি তা
উপলব্ধি করার জন্য আপনাকে কয়েকটি পদ্ধতি জানতে হবে। তবুও, খাঁটি মধু
উপলব্ধি করার আগে আপনাকে জাল দেয়া মধু পরখ করতে হবে। সুতরাং আমাদের খাঁটি
মধু ও ভেজাল মধু মধ্যে পার্থক্য জানতে হবে।
খাঁটি মধু ও ভেজাল মধু বোঝার জন্য আমাদের কয়েকটি ভিন্ন উপায় আবিষ্কার করা উচিত
১) খাঁটি অমৃতের কখনও কখনও কঠোর গন্ধ থাকবে না। অপরিচ্ছন্ন মিষ্টি গন্ধটি মিষ্টি হবে।
২) মিষ্টি স্বাদ মিষ্টি হবে, এটির কোনও কঠোর ঝোঁক থাকবে না।
৩)
এক গ্লাস জলে এক চা চামচ অমৃত পরিমাণ রাখুন। এই মুহুর্তে সূক্ষ্মভাবে
গ্লাসটি নাড়ুন। যদি অমৃত পানির সাথে মিশ্রিত হয়, আপনি নিশ্চিত হয়ে উঠবেন
যে এটি দূষিত অমৃত। তদুপরি, যদি এক গ্লাস জলে অল্প অল্প টোপের মতো অমৃত
ছড়িয়ে পড়ে তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি ভেজাল অমৃত। অপরিষ্কার মধু
গ্লাসের গোড়ায় নেমে আসবে।
৪) নকল অমৃত হল তেমনি, একটি মনোরম গন্ধ থাকবে এবং গন্ধ এত সুন্দর নয়।
৫) নকল অমৃত খুব সামান্য। স্তরগুলি বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে। তদুপরি, এটি খাওয়া বাজে নয়। আরও কি, বেস কঠোর হয়।
৬) একটু অমৃত আঙুলe নিন, তার ঘনত্ব দেখুন। খাঁটি অমৃতটি উল্লেখযোগ্যভাবে আরও আঁকড়ে থাকবে।
৭) যদি অমৃত কল্পনা না করে তবে বেশ কিছুক্ষণ অমৃতের নিচে জমে না। তেমনি পিঁপড়াও পাবে না।
৮)
বেশ কিছুক্ষণ বাড়িতে রেখে গেলে অমৃতের সমষ্টি হতে পারে। তবুও, আপনি যদি
কিছুক্ষণ উচ্চ টেম্পল পানিতে পাত্রটি দিয়ে অমৃত রাখেন তবে এই চিনি নরম
হওয়ার প্রবণতায় অমৃতটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
৯) একটি গ্লাস
বা বাটিতে সামান্য জল নিন। এতে একটি চা চামচে মধু রাখুন। এই ইভেন্টে যে
অমৃত জল কার্যকরভাবে মিশ্রিত হয়, সেই মুহুর্তে বুঝতে হবে যে এটি অবশ্যই
ভেজাল । খাঁটি অমৃতের কেন্দ্রিয়করণ পানির তুলনায় অনেক বেশি, সুতরাং এটি
কোনও সমস্যা ছাড়াই মিশে যায় না। অমৃত জল মিশ্রিত না হয় তা নির্বিশেষে
মিশ্রিত করবে না।
১০) শিখা নিন এবং এর নুন অমৃতের মধ্যে ভালভাবে
ডুবিয়ে নিন। আগুন দিয়ে আলো দেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি গ্রাস করে, সেই
মুহূর্তে বুঝতে পারুন যে অমৃতটি নিরবচ্ছিন্ন। তদ্ব্যতীত, এটি গ্রহণ করে না
এমন পরিস্থিতিতে, বুঝতে পারুন যে অমৃতরে জল মিশ্রিত রয়েছে।
১১) কিছুটা
গন্ধযুক্ত কাগজ নিন, এতে কয়েক ফোঁটা অমৃত রেখে দিন। যখন কাগজটি
সম্পূর্ণরূপে এটির সাথে মিলিত হয়, তখন বুঝতে হবে যে অমৃতটি নিরবচ্ছিন্ন
নয়।
১২) কিছুটা সাদা উপাদানের উপর অমৃত ছড়িয়ে দিন। ৩০ মিনিটের জন্য
ছেড়ে দিন। সেই সময়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ যে অফ হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে, তা বুঝতে পারুন অমৃতটি নিরস্ত্র নয়।
১৩) শীতকালে শস্য দানা বাঁধার বা অবহেলিত হওয়ার অবকাশে, সেই সময়ে এটি অযৌক্তিক অমৃত নয়। অযৌক্তিক অমৃত দূর্বল হিমশীতল।
১৪)
যদি ভূ-পতঙ্গ পোকামাকড় অমৃতের ধারে কাছে ঘষে না তবে সেই সময়ে এটি খাঁটি
মধু। আরও কী, পিঁপড়াগুলি পছন্দ করে , সেই সময়ে মধুতে অশুচি থাকে।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু ও ভেজাল মধু চেনার উপায় সমূহ
সুন্দরবনের
খাঁটি মধু ও ভেজাল মধু চেনার উপায় সমূহ বলতে গেলে অনেক বিস্তারিত বলতে
হবে। কারণ ব্যাপারটি খুবই জটিল ও কঠিন একটি বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ্, খাঁটি
মধু ও ভ্যাজাল মধু চেনার উপায় সম্পর্কে অনেক ওয়েবসাইট ও ব্লগ এ অনেক পোষ্ট
আছে। খাঁটি মধু চেনার উপায় কি? বা ভেজাল মধু কি ভাবে বুঝবো? এই
প্রশ্নগুলোর একদম সঠিক উত্তর দিতে আজকের এই আর্টিকেলটি লিখছি। এখানে দুইজন
বিদেশি গবেষকদের কথা উল্লেখ করেছি এবং পাশাপাশি আমার মতো একজন ছোটখাটো দেশি
মধু বিশেষজ্ঞ এর অবিজ্ঞতাও শেয়ার করেছি। এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারী এবং
গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য, যারা খাঁটি মধু এবং ভেজাল মধু চেনার ব্যাপারে বা
পরীক্ষা করার ব্যাপারে একেবারে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে চান।
এখান
থেকে জানতে পারবেন, কোন কোন পরীক্ষার মাধ্যমে মধু পরীক্ষা করে আসল-নকল চেনা
যায় এবং কোন কোন পরীক্ষা করে মধু খাঁটি-ভেজাল কিছুই চেনা যায় না বা কোন
পরীক্ষা গুলো সঠিক নয় এবং অকার্যকারী। বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
খাঁটি মধু চিনার উপায় কি?
আমাদের
মুল যে প্রশ্ন, আমাদের সকলের যে চাওয়া, তাহলো খাঁটি বা ভেজাল মধু আমরা কি
ভাবে বুঝবো? এটাই আমরা সকলে জানতে চায়। আমাদের ক্রয় ক্রিত মধু আসলেই খাঁটি
নাকি ভেজাল?
আমি আজকে এই বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো
ইনশাআল্লাহ। প্রথমে আমি আমার ব্যক্তিগত অবিজ্ঞতা থেকে যদি বলি তাহলে বিষয়টা
এই ভাবে বলতে হবে।
খাঁটি মধু বা ভেজাল মধু চেনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য
মাধ্যম হচ্ছে ল্যাব টেস্ট। এর বাইরে আরেকটি উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
তাহলোঃ মধু নিয়ে গবেষণা করেন এবং মধু বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন ও সত্য কথা
বলেন এমন কোনো ব্যক্তি যদি বলেন, মধু খাঁটি বা ভেজাল, তাহলে তার কথায় আস্থা
রাখা যায়। এর বাইরে সাধারণ মধু ক্রেতাদের আর কোনো উপায় নাই খাঁটি বা ভেজাল
মধু চেনার।
এই কথা গুলো একান্তই আমার অবিজ্ঞতা থেকে বললাম। এর
বাইরে অনেকেই অনেক রকমের কথা বলতে পারেন। যেমনঃ আগুন পরীক্ষা, পানি
পরীক্ষা, পিঁপড়া পরীক্ষা, ফ্রিজিং পরীক্ষা, চুন পরীক্ষা ইত্যাদি। কিন্তু
বাস্তবতা হচ্ছে প্রচলিত এই পরীক্ষা গুলোর মাধ্যমে খাঁটি বা ভেজাল মধু চেনা
যায় না। আমি নিজেই এই পরীক্ষা গুলো করে দেখেছি। এবং এই পরীক্ষা গুলো যে
সঠিক নয় তার প্রমাণ সহ ভিডিও বানিয়েছি। আপনারা চাইলে আমার ইউটিউব চ্যানেল
থেকে ভিডিও গুলো দেখতে পারেন অথবা আমার নতুন ওয়েবসাইট থেকেও দেখতে পারেন।
এবার
আমরা বিদেশি দুইজন গবেষকের মন্তব্য দেখবো। তিনারা আসলে কি বলেছেন এই মধু
সম্পর্কে। নিচের এই আর্টিকেলটি সরোবর ব্লগ থেকে কপি করেছি।
সরোবর
মধু বিক্রি করে। মৌমাছির কাছ থেকে বোতলে ভরা পর্যন্ত পুরো কাজটা আমাদের
চোখের সামনে হয়। মধুতে ভেজাল মেশানোর প্রশ্নই আসে না। এরপরেও মাঝে মাঝে
আমাদের শুনতে মধুটা নাকি খাঁটি নয়। কীভাবে জানলেন? গুগল আর ইউটিউবের যুগে
সবাই সব কিছু জানে। আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে honey purity test লিখে সার্চ
দেন তাহলে একটা ভিডিওতে তিন তরিকায় মধুর পিউরিটি পরীক্ষা করা হয়েছেঃ
১। পানিতে ঢেলে দিলে যদি সাথে সাথে পানির তলায় জমে তাহলে আসল।
২। আগুন ধরিয়ে দিলে যদি পুড়ে যায় তাহলে আসল।
৩। বুড়া আঙুলের মাথায় দিলে যদি একটা একটা বিন্দুর মতো স্থির হয়ে থাকে তাহলে সেটা আসল।
এ ছাড়াও আরো কিছু সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ‘বৈজ্ঞানিক’ পদ্ধতির কথা আমরা শুনতে পাইঃ
১। পিঁপড়া মধু খেলে সেটা আসল।
২। মধুতে পিপড়া না ধরলে সেটা আসল।
৩। ফ্রিজে রেখে দিলে জমে না গেলে সেটা আসল।
৪। শীতকালে জমে গেলে তবেই সেটা আসল।
এ ধরণের প্রশ্ন পেতে পেতে বাধ্য হয়ে আমরা দুজন মানুষের সাথে যোগাযোগ করি – ড. যাকারি হুয়াং এবং ড. লুস এলফেইন।
কেন যায় না?
কারণ,
মধুর সান্দ্রতা নির্ভর করে মধুর আর্দ্রতা ওপরে। যে মধুতে পানি বেশি সেটা
কম ঘন। যে মধুতে পানি কম সেটা অনেক ঘন। মরু এলাকার ফুলের মধু আর বাওড়
এলাকার ফুলের মধুতে অনেক তফাত থাকে। সুন্দরবনের একদম খাঁটি মধু অনেক পাতলা
হয়, আবার সরিষা ফুলের সাথে অনেক ভেজাল মেশানোর পরেও সেটাকে বেশ ঘন মনে হবে।
মধুতে
সামান্য মোম মিশিয়ে দিলেই মধুটা সটান পানির তলায় চলে যাবে, জমে থাকবে।
আগুন ধরিয়ে দিলে আগুন জ্বলবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মোমটা যদি মধুতে না
মিশিয়ে চিনির শিরাতে মিশিয়ে দেন, একই ফল পাবেন। আমরা অফিসে চিনির শিরা ঘন
করে বানিয়ে পরীক্ষা করে দেখিয়েছি চিনির শিরা বেশি ঘন হলে সোজা তলে চলে যায়,
দ্রবীভূত হয় না।
সত্যি কথা বলতে কী, খাঁটি মধু বানানোর চাপে
অনেক ভালো মধু উৎপাদকরাও মধুকে প্রক্রিয়াজাত করতে বাধ্য হন। প্রক্রিয়াজাত
মানে মৌমাছির তৈরি মধুকে উত্তপ্ত করে পানির পরিমাণ কমিয়ে ফেলা। দুঃখজনক
হলেও, এ কাজটা করতে গিয়ে মধুর বেশকিছু পুষ্টিমান হারিয়ে যেতে পারে। এজন্য
আমরা চেষ্টা করছি মানুষের মাঝে একটা সচেতনতাবোধ তৈরি করতে যে মৌমাছিদের
থেকে সরাসরি পাওয়া প্রাকৃতিক মধুই সবচেয়ে ভালো, হোক সেটার দাম বেশি, হোক
সেটা একটু কম ঘন।
শুরুর প্রশ্নে ফিরে যাই – ঘরে বসে সুন্দরবনের খাঁটি মধু চিনব কীভাবে?
কোনো
উপায় নেই। শুধু আমাদের কাছে না, পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীদের কাছেও নেই।
অনলাইন হাতুড়েরা যেসব দেখাচ্ছে সেগুলো বাকওয়াজ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তবে
প্রশ্ন যদি হয় খাঁটি মধু পাবেন কীভাবে তার উত্তর দিতে পারিঃ ১। আপনি
গ্রামের দিকে থাকলে বা গ্রামের সাথে ভালো যোগাযোগ থাকলে, নিজের মধু নিজেই
দাঁড়িয়ে থেকে সংগ্রহ করুন। ২। এটা সম্ভব না হলে, কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান
থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। কারো বিশ্বস্ততায় সন্দেহ হলে তার সাথে মধুর খামার
পর্যন্ত যেতে পারেন। আমাদের সরোবরের সাথে যদি কেউ মৌমাছির খামার দেখতে চান,
স্বাগতম।
খাঁটি মধু চেনার ৫ উপায়
১. বুড়ো আঙুলের পরীক্ষা
সামান্য
মধু নিন বুড়ো আঙুলে। দেখুন, এটি অন্যান্য তরলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কি না। মধু
খাঁটি না হলে তা অন্য তরলের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু আসল মধু ঘন হয়ে
আটকে থাকবে। সহজে ছড়াবে না। আবার একটু বেশি পরিমাণ মধু নিয়ে বুড়ো আঙুল
উল্টো করে ধরে রাখলে তা সহজে ফোঁটা আকারে পড়বে না।
২. পানির পরীক্ষা
এক
গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু নিন। ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে পানির
সঙ্গে। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে পানিতে।
বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকবে। কিন্তু বাজে মানের মধু একেবারে
হাওয়া হয়ে যাবে।
৩. আগুনের পরীক্ষা
হয়তো এ পদ্ধতির কথা এর আগে
শোনেননি। খাঁটি মধু কিন্তু দাহ্য পদার্থ। তবে মধুতে আগুন জ্বালানোর আগে
সাবধান থাকবেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিপূর্ণ করতে হবে। তবে পরীক্ষা অতি
সাধারণ। ম্যাচের একটা কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার এই কাঠি জ্বালাতে
ম্যাচবক্সে আঘাত করুন। জ্বলে উঠলে মধু নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর মধুতে
ভেজাল থাকলে আগুন জ্বলবে না।
৪. ভিনেগারের পরীক্ষা
এক টেবিল
চামচ মধু, সামান্য পানি আর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই
মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনিল হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো
রয়েছে।
৫. তাপমাত্রার পরীক্ষা
খাঁটি মধুতে তাপ দিলে তা খুব
দ্রুত কেরামেলের মতো হয়ে যাবে। এটা ফোমের মতো ফেনিল হবে না। কিন্তু ভেজাল
মধু কেরামেলের মতো ফেটে ফেটে যাবে না। এতে কেবল বুদবুদ উঠবে।
মধুর প্রকার ভেদ
আসলে
মধু যে বিভিন্ন প্রকারের হয়, এইটা শুনেই অনেকে অবাক হয়ে যান। তারা জানেনই
না যে মধুর বিভিন্ন শ্রেণী বিভাগ আছে। মধু বিভিন্ন প্রকারের হয়। তারা শুধু
বঝেন যে মধু এক প্রকার। আর তাহলো গাছের ডালে, বাড়ির আনাচে কানাচে যেই চাক
বসে, ওইটাই শুধু মধু। ওই এক প্রকারই মধু। এর বাইরে আর কোন মধু হয় না।
সত্যি
বলতে মধুর এতো প্রকারভেদ রয়েছে যে আমি নিজেও এখনও সব বুঝে উঠতে পারিনি।
কিছু উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। উপরে তো চার প্রকার মধুর নাম বললাম। এর
বাইরেও আরও অনেক প্রকার মধু আছে যেমনঃ সরিষা ফুলের মধু, বরই ফুলের মধু,
জলপাই ফুলের মধু, আবার এক সুন্দরবনের মধুই তিন প্রকার, যেমনঃ ১) খলিসা ২)
গড়ান ৩) কেওরা। এর বাইরে আরও যে কত প্রকার মধু আছে আল্লাহই ভালো জানেন।
4.1 average based on all reviews.
Epson EcoTank L5190 Wi-Fi Multifunction InkTank Printer with ADF
৳28,000৳ - ৳28,000৳
বিস্তারিত পড়ুন